শিরোনাম
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ৯নং ওয়ার্ড মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এবং ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ।
- বিজেপিতে যাচ্ছেন না সৌরভ
- রাজনৈতিক দলবদল, স্নায়ুযুদ্ধে টলিউড তারকারা
- দক্ষিণাঞ্চলেও পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ফাইনালে বার্সেলোনা
- যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: জয়শঙ্কর
- সব রিপোর্টেই মুশতাকের স্বাভাবিক মৃত্যুর তথ্য মিলেছে
- একুশে ফেব্রুয়ারিতে ২১ নং জামাল খান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
চান্দ মালিকঃ বাংলাদেশের এক দুর্ধর্ষ স্পাই

দিওয়ান চান্দ মালিক(ছদ্মনাম), এক দুঃসাহসী বাংলাদেশি স্পাই।
দিওয়ান চান্দ মালিক ১৯৯৯ সালে ছদ্ম পরিচয় ও ভূয়া কাগজপত্র ব্যাবহার করে ভারতীয় গুপ্তচর বিভাগ র' (রিসার্চ & অ্যানালাইসিস উইং)-এ যোগদান করেন।
বস্তুত তিনি ছিলেন বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এন.এস.আই) এর এর একজন এজেন্ট। তিনি এর আগে কয়েকবছর পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন, লেখাপড়াও কমপ্লিট করেন কলকাতা থেকে।
দুঃসাহসী এই ডাবল এজেন্ট ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় র' এর এভিয়েশন রিসার্চ সেন্টারে একজন ক্লাস-১ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এভিয়েশন রিসার্চের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইন্টেল ছিলো তাঁর নখদর্পণে। র' এর কর্মকর্তারা কখনো ঘুনাক্ষরেও সন্দেহ করতে পারে নি তাকে।
আমরা জানি একজন ডাবল এজেন্ট যত চালাকই হোক না কেন, তার পরিচয় একসময় ফাঁস হয়েই যায়......আর তারা সেই ঝুঁকিটা মেনে নিয়েই এই পেশায় নামেন।
যাইহোক, আমাদের দেশি গুপ্তচরের কপাল খারাপ, তার পরিচয় এক্সপোজ করে দেয় তার ঝগড়াটে বউ। মহিলা ২০০৫ সালের শুরুর দিকে কোর্টে ডিভোর্সের আবেদন করে। সুচতুর মালিক সেই সময়ই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান। কোর্টে পর পর কয়েকটা ডেট মিস করার পর এপ্রিলে মিসেস মালিক রাগে দুঃখে পাগল হয়ে এভিয়েশন রিসার্চ সেন্টারে একটা চিঠি পাঠায়, যাতে লেখা ছিলো যে মালিক আসলে একজন বাংলাদেশী নাগরিক।
র' এর লোকেরা ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে দেরি করে নি, প্রায় সাথে সাথেই একটা "ম্যানহান্ট" অপারেশন লাঞ্চ করে ফেলে তারা। সমস্ত রেলওয়ে স্টেশন, এয়ারপোর্ট, বন্দরে তাঁর নামে "লুকআউট নোটিশ" জারি করা হয়।
এরপর আদালত তাকে অপরাধী ঘোষনা করলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দিওয়ান চান্দ মালিকের নামে "রেড কর্নার নোটিশ" (অনেকটা আন্তর্জাতিক অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট টাইপ) জারি করা হয়।
এরপর কয়েকবছর ধরে "ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো" আর র' যৌথভাবে মালিককে গ্রেফতার করার জন্যে সম্ভ্যব্য সবরকম চেষ্টাই করে। পরিচয় ফাঁসের কয়েকমাস পর চব্বিশ পরগনা জেলায় আইবির লোকজনের হাতে ধরা পড়তে পড়তে একেবারে শেষ মূহুর্তে পালিয়ে যান তিনি। তারপর থেকেই আর কখনোই কোন খোঁজখবর পাওয়া যায়নি এই স্পাইয়ের। র' ও আইবির নাকের ডগা দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যান তিনি।
তো............ফ্রান্স, আমরা কি শিখলাম?? নেভার মেস উইথ ইয়োর ওয়াইফ।
স্পেশালি যদি আপনি দিওয়ান চান্দের মতো ডাবল এজেন্ট হন তাহলে আরো বেশি সাবধানে থাকবেন। দিওয়ানের বউ যদি তাঁর পরিচয় ফাঁস না করতো, তাহলে তিনি হয়তো এখনো সেখানে নির্বিবাদে তাঁর কাজ করতে পারতেন।
পর্যাপ্ত ট্রেনিং দিলে যোদ্ধা প্রায় সবাই ই হতে পারে, কিন্তু নিজের অস্তিত্ব কে বিসর্জন দিয়ে অন্য কোন দেশে গিয়ে প্রতি মূহুর্তে ধরা পড়ার ঝুকি নিয়ে ডাবল এজেন্ট সবাই হতে পারবেন না। একবার একটা গল্পে লিখেছিলাম, "দেশকে তো সবাই ভালোবাসতে পারে, অনেকেই নিজের প্রাণও দিতে পারে, কিন্তু দেশের জন্যে সবচেয়ে প্রিয় জিনিস নিজের অস্তিত্বকে বিসর্জন দিতে হয় তাদেরকে। হ্যা, মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস তার প্রাণ নয়, অস্তিত্ব!
They are the warriors who never existed and never will be……" "
নাম না জানা এই অস্তিত্বহীন যোদ্ধার জন্য এবং সকল অস্তিত্বহীন যোদ্ধাদের জন্য রইলো শুভকামনা।
সর্বশেষ সংবাদ
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ৯নং ওয়ার্ড মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এবং ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ।
- বিজেপিতে যাচ্ছেন না সৌরভ
- রাজনৈতিক দলবদল, স্নায়ুযুদ্ধে টলিউড তারকারা
- দক্ষিণাঞ্চলেও পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ফাইনালে বার্সেলোনা
- যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: জয়শঙ্কর
- সব রিপোর্টেই মুশতাকের স্বাভাবিক মৃত্যুর তথ্য মিলেছে
- একুশে ফেব্রুয়ারিতে ২১ নং জামাল খান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সম্পাদকীয় পাতার আরো খবর
- চান্দ মালিকঃ বাংলাদেশের এক দুর্ধর্ষ স্পাই
- আজকের ইফতার ও সেহেরির সময় সূচি
- শুদ্ধিতেও জামাতি ভূত : বিস্ময় ও নেপথ্য কথন
- দিস ইজ ক্যাপ্টেন মনসুর, গর্জে উঠে ঘাতকের আগ্নেয়াস্ত্র
- ফ্যাসিজমের বাংলাদেশঃ প্রতিবাদই মুক্তির পথ
- বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য কল-রেডী
- ১ কাপ টি-ব্যাগের চা'য়ে সাড়ে ১১'শ কোটি প্লাস্টিকের কণা
- বঙ্গকন্যার জন্মদিন আজ
- তোর বাবাদের নাম বল এইবার
- কোরবানি ঈদের খাবার ও সচেতনতা
- চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্টার্টআপ স্কুল ১.০ কর্মশালা
- যে ক্রীম মাখলে কাছে আসবে না মশা